ইরানে বিক্ষোভের পক্ষে জোরালো মার্কিন সমর্থন
রয়টার্স
ইরানের বিক্ষোভকারীদের প্রতি জোর সমর্থন ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সমর্থন জানিয়ে বলেন, মার্কিন প্রশাসন খুব স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি উপায়ে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করছে। এদিকে ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সোমবার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। বিবিসি জানায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ মিসরের অভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি জানাতে তেহরানের আজাদি স্কয়ারে জড়ো হয়। এটি এক পর্যায়ে তেহরানের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত এ বিক্ষোভ ইরানের ইস্পাহান, মাসহাদ ও শিরাজ শহরসহ অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে। বিরোধী ওয়েবসাইটগুলো জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এছাড়া মীর হোসেন মুসাভিসহ শীর্ষ বিরোধী নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, অন্তত তিনজন বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়। আজাদি স্কয়ারে সমাবেশ শুরুর আগে দাঙ্গা পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিপেটা করে। ফার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের গুলিতে একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়। হিলারি ক্লিনটন ওয়াশিংটনে বলেন, ‘আমরা ইরানের জনগণের সাহসের পরীক্ষা দেখতে পাচ্ছি। একই সঙ্গে ইরানে শাসকগোষ্ঠীর ভণ্ডামিও দেখতে পাচ্ছি। এই শাসকরাই গত তিন সপ্তাহ ধরে মিসরের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ইরানে রাজনৈতিক ব্যবস্থা উন্মুক্ত করতে একটি প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের বিরোধী ও সুশীল সমাজের কথা শোনা প্রয়োজন। ইরানের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি স্পষ্ট ও সরাসরি সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। হিলারি মিসরের বিক্ষোভকারীদের মতো ইরানিদের সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা দিতে তেহরানের প্রতি আহ্বান জানান।লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিক্ষোভকারীদের প্রতি তেহরান সরকারের আচরণের নিন্দা জানিয়েছে।