Thursday, February 17, 2011


আ’লীগ ও হাসিনার সরকার কোরআনের দুশমন : আমিনী

স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকার কোরআনের দুশমন। তারা দেশ থেকে কোরআনকে উচ্ছেদ করতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় মুরতাদ তৈরি ও কওমি মাদ্রাসা থেকে কোরআন-হাদিস উত্খাতের নীতি। এ শিক্ষানীতির মাধ্যমে তারা দেশের মানুষকে মুরতাদ বানাতে চায়। তিনি বলেন, সরকার ইসলামী রাজনীতি ও ফতোয়া নিষিদ্ধের নামে মূলত কোরআনকেই নিষিদ্ধ করতে চায়। এ দেশের মানুষ তা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান এ দেশে চলবে না। ইসলামী রাজনীতি যারা বন্ধ করতে চায়, তাদের রাজনীতিই বন্ধ করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এছাড়া সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ, ইফা ডিজির অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশসহ তিনি দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মহাসমাবেশে বাধা দেয়া হলে তাত্ক্ষণিকভাবে হরতাল এবং দাবি না মানলে মিসরের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত জাতীয় উলামা-মাশায়েখ ও প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, নায়েবে আমির আল্লামা শামসুল আলম চাটগামী ও মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, উপদেষ্টা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা শাহিনুর রহমান পাশা চৌধুরী, মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবুল কাশেম প্রমুখ।
মুফতি আমিনী ফতোয়া নিষিদ্ধের উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে বলেন, হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট শত কোর্ট এলেও ফতোয়া বন্ধ করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, কোর্টের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু মিরাছি আইন তথা কোরআন বন্ধের অধিকার তাদের নেই। ইসলামী আইন বাস্তবায়নের আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি মেয়েদের নিয়ে নাচের অনুষ্ঠান এবং তাদের সঙ্গে করমর্দন করার পরও ওই পদে থাকেন কিভাবে? প্রধান বিচারপতি দুর্গা আসার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করার পরও তার পদে কিভাবে থাকেন? তিনি বলেন, এ দেশে আস্তে আস্তে হিন্দু, খ্রিস্টান ও নাস্তিকতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
বর্তমান সরকার আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেলে রেখে, পত্রিকা বন্ধ ও বাক-স্বাধীনতা হরণ করে দেশে শক্তিতন্ত্র কায়েম করতে চায়। এতে আওয়ামী লীগেরই ধ্বংস হবে। জোর করে ক্ষমতায় থাকা ও ইসলামকে ধ্বংস করা যাবে না।
মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতি কার্যকর হলে ভবিষ্যতে দেশে মুসলমান থাকবে না। নাস্তিক ও বিদেশি এজেন্টরা এ দেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমান শেষ করতে চাচ্ছে। আল্লাহর ফয়সালার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে তিনি তাদের প্রতি আহ্বান জানান। মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্য এ দেশ থেকে ইসলামকে বিদায় করা। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাদ্রাসা বন্ধ হবে। তিনি বলেন, এ দেশে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক সংবিধান চলতে পারে না। এ সংবিধান বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন বারলুসকোনি

ডেস্ক রিপোর্ট
অবশেষে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। আগামী ৬ এপ্রিল তার বিচার শুরু হবে। তার বিরুদ্ধে রুবি নামের ১৭ বছর বয়সী এক পতিতার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিচারক ক্রিস্টিনা ডি সেনসা শিগগিরই মিলানের প্রোসিকিউটরদের প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনির বিরুদ্ধে আদালত গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। 
এর আগে ইটালির আইনজীবীরা বারলুসকোনিকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার আহ্বান জানানোর পর মঙ্গলবার বিচার শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হয়। আইনজীবীরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণ রয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা সত্যিই ঘটেছে। 
প্রথমদিকে বারলুসকোনি এ সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও রুবিকে পুলিশ আটক করার পর ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এদিকে, সমপ্রতি একটি পার্টিতে রুবি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তবে তার কাছ থেকে এক পার্টিতে উপঢৌকন হিসেবে ৬ হাজার ইউরো নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গত রোববার তার পদত্যাগের দাবিতে ইটালির অন্তত ৬০টি শহরে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেন।