Wednesday, February 16, 2011

Angry protest follows second death in Bahrain



By ARAB NEWS
MANAMA: Thousands of Bahrainis demonstrated against the government after a second protester died in clashes with police on Tuesday. The protests in a country, which saw deadly unrest in the 1990s, prompted Formula One boss Bernie Ecclestone to voice concern about next month’s Grand Prix, which opens the new Formula One season.
Cyber activists outraged by the killing of the two protesters had called for the Manama demonstration on Facebook.
King Hamad bin Isa Al Khalifa expressed sorrow over the deaths on Monday and Tuesday morning and ordered the formation of a committee to investigate them.
King Hamad offered in a televised address on Tuesday afternoon his condolences to the families of the victims.
The special committee will be headed by Deputy Prime Minister Jawwad Al-Arayyedh and will determine the reasons behind the regretful incidents, the king said in his speech broadcast by Bahrain Television.
King Hamad said that he would ask Parliament to look into the events and recommend the necessary legislation to address the issue in the interest of the homeland
“We will request the legislative body to look into this phenomenon and to suggest proposals required to address it for the interest of the nation and citizens,” King Hamad said.
Bahrain’s largest parliamentary bloc Al-Wefaq, which accuses the ruler of discriminating and neglecting a section, responded to the violence by suspending its participation in the lower house of Parliament following the death of the two protesters.
The bloc did not say when it would be ready to reverse the decision. Senior figures from Al-Wefaq bloc and the National Democratic Action Society attended the demonstration.
“This is your only and last chance,” read a banner carried by protesters who descended on Manama’s Pearl Roundabout, shortly after the funeral of one of the two demonstrators.
Protesters appeared to have turned a deaf ear to King Hamad’s address. Demonstrators want a “contractual constitution and a peaceful transfer of power,” said MP Mohammed Mezaal, of the opposition Islamic National Accord Association whose 18 MPs walked out of the 40-member Parliament,
The decision came because of “the deterioration in security and the negative and brutal way in which (authorities) dealt with the protesters, killing two of them,” said another of the bloc’s MPs, Khalil Al-Marzooq. Enraged mourners chanted anti-government slogans. Later they prayed together at the roundabout. Hundreds of young men and women waved Bahraini flag and carried placards calling for the release of political prisoners and constitutional reforms.
Riot police continued to be on standby but did not interfere in the protest. Many in the square chanted: “No Sunnis, no Shiites. We are all Bahrainis.”
It also appeared they were planning for the long haul as many of them brought blankets and carpets to brave the cold weather. Some groups carried in tents and sought generators to set up under a nearly 300-foot monument cradling a giant white pearl-shaped ball that symbolizes the country’s heritage as a pearl diving center.
Fadel Salman Matrouk was shot dead in front of a hospital on Tuesday where mourners gathered for the funeral of Ali Msheymah who died of his wounds after police dispersed a protest in a village east of Manama on Monday, Marzooq said.
King Hamad said the reform process, which saw the restoration in 2002 of the Parliament dissolved in 1975, would continue. The opposition has long complained that the elected chamber’s legislative authority is shared with a new appointed upper house. “Reform is going ahead. It will not stop,” the king said.
Thousands attended Msheymah’s funeral in Diya.
The Formula One chief told London’s Daily Telegraph newspaper that it was too early to consider the possibility of calling off next month’s Bahrain Grand Prix but said that he planned to contact Crown Prince Salman about the risk of protests.

buildings in Jeddah on verge of collapse

Combo image show file photos of two buildings in Jeddah's district of Balad that have been demolished after they were found to be structurally unsound. A municipal official is shown supervising demolition work. (AN photo)
By MUHAMMAD HUMAIDAN | ARAB NEWS
JEDDAH: There are about 8,000 buildings in Jeddah on the verge of collapse, according to informed sources.
This opens the door wide to accusations of our historic legacy being neglected, they say.
Jeddah lost two more historic buildings in the downtown Balad area when they were burned down Saturday night, bringing the total number of ancient buildings lost to fires to 200.
Suspicions that the fires in the two historic buildings might be deliberate are also not a distant possibility," an informed source at the municipality said.
According to the sources, the fire that burned down the two houses did not reach the historical Bait Naseef. They said eight fire brigades were able to fight the blaze, preventing it from reaching other houses in the historic area.
According to the Civil Defense, the fire started at an apartment in the second floor of one of the two historic buildings before it extended to the third floor and then to the other building.
"There were no deaths or injuries in the fire, which completely destroyed the two historic buildings as residents were vacated beforehand," a spokesman said.
The Civil Defense believed that fire spread very quickly because of its sandalwood exterior. "The wooden windows also helped the fire spread quickly," it added.
According to municipal sources, apart from the historic buildings there are about 8,000 buildings on the verge of collapse in Jeddah. They said 3,000 of these houses were classed as critical and that their tenants should contact the municipality immediately.
They added that technical reports were being made on the other 1,000 houses, which should also be evacuated without delay.
According to the sources, the Saudi Electricity Company has warned the owners of about 6,000 buildings in Makkah that the power would be cut there to force occupants to find safer homes.
They said 11 of these houses were already demolished, 419 were under repair and technical reports were being compiled for the maintenance of 530 others.

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে-সহমরণের চেষ্টা !

এনএনবি (যশোর) : বিশ্ব ভালবাসা দিবসেই চির অমর হবার লক্ষে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সহমরনের পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু এ সময় স্ত্রী হামিদার (১৮)মৃতু্য হলেও তার স্বামী টিপু এখনও হাসপাতালে মৃতু্যর সাথে লড়ছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯'টার সময় চৌগাছা উপজেলার সরফরাজপুর গ্রামের কাইয়ুম হোসেনের পুত্র টিপু (২৪) ভাতের সাথে বিষ মিশিয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সে ভাত খেতে থাকে । এ সময় টিপুর মা মরিয়ম বেগম এসে দেখেন তাদের গাল দিয়ে ফেনা উঠছে। এ অবস্থা দেখে তিনি বাড়ির সবাইকে ডাকেন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্ত্রী হামিদা। মুমূর্ষ অবস্থায় টিপুকে ভর্তি করা হয়েছে আড়াই'শ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে। টিপুর পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, টিপু একজন অতি দরিদ্র কৃষক, অভাবের কাছে হেরে গিয়ে স্ত্রীসহ আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেলেও স্ত্রী মারা যায়। গত আটমাস আগে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু অভাবের তাড়নায় তারা বিশ্ব ভালবাসা দিবসে একসাথে নিজেদের অমর ও অভাব ঘোচাতে এ পথ অবলম্বন করে। চৌগাছা থানার পুলিশ নিহত হামিদার লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এবং অসুস্থ টিপু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মিসরে নতুন করে বিক্ষোভ-ধর্মঘট চ্যালেঞ্জের মুখে সেনাশাসক

রয়টার্স/বিবিসি
মিসরে সেনাবাহিনীর আল্টিমেটামের মধ্যে বেতন বাড়ানোর দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ-ধর্মঘট শুরু করেছে জনতা। ব্যাপক গণআন্দোলনে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের পর এবার দেশের নতুন সেনাশাসকদের কাছে ভালো বেতন এবং কাজের পরিবেশ দাবি করে একযোগে বিক্ষোভে নেমেছে ব্যাংক, পরিবহন ও পর্যটন কর্মীরা। 
সেনাবাহিনী এরই মধ্যে মিসরীয়দের কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিলেও জনগণ তা উপেক্ষা করেছে। 
সেনাবাহিনী সোমবার জনগণকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনায় সহায়তা না করলে গ্রেফতার হওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। 
এর আগে সেনাবাহিনী কায়রো তাহরির স্কয়ার থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পরই আবার শত শত মানুষ সেখানে ভিড় জমায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশও। এতে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সেনাশাসকরা।
কায়রো ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীরা কম বেতন এবং কাজের খারাপ পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। মিসরজুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান ধর্মঘটও করে তারা। অ্যালেকজান্দ্রিয়া ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে শত শত বিক্ষোভকারী। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে অন্তত ৫শ’ মানুষ। এক বিক্ষোভকারী সাফাত মোহাম্মদের উক্তি, ‘মোবারকের চুরি করা কোটি কোটি ডলার মিসরীয়দের মধ্যে ভাগ করে দিলেই চলবে।’ বিক্ষোভকারীদের নেতারা জানান, আমূল সংস্কার না হলে মিসরবাসী তাদের দাবি নিয়ে আবার বিক্ষোভ করবে। বিক্ষোভকারীরা আগামী শুক্রবার বিশাল এক বিজয় মিছিল করে বিপ্লব উদযাপনের পরিকল্পনা করছে। এর মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে জনগণের ক্ষমতা স্মরণ করে দিয়ে সতর্ক বার্তা দিতে চায় তারা। 
এদিকে মিসরে বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তারা বলছে, আগামী ছয় মাস অথবা দেশে নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে। একইসঙ্গে আন্দোলনের সময় আটক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। কায়রোর তাহরির চত্বরে যেসব মানুষ এখনও অবস্থান করছে তাদের দ্রুত ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মিসরের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের দেয়া সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনও তাহরির চত্বরে বহু মানুষ অবস্থান করছে। তারা বলছে, খুব শিগগরিই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা বেসমারিক প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করতে হবে। সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের সভায় দেশের সংসদ ভেঙে দেয়া এবং সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে।
ধর্মনিরপেক্ষতা চাপানোর অপচেষ্টা
 চালানো থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি
 জামায়াতের আহবান
সংবিধান সংশোধন ও পুনর্মুদ্রণের নামে
 ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার চেষ্টা
 জাতি মানবে না
সংবিধান বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় সংবিধান সংশোধন করে জাতির ঘাড়ে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় সংবিধান সংশোধন করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার নামে সরকার জাতির ঘাড়ে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তারা বলেন, সংবিধান সংশোধনের নামে সরকার দেশে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তাতে দেশবাসী শঙ্কিত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে এনে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিকে পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইসলামী আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে সরকার বাংলাদেশ থেকে মূলত ইসলামী রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্যই সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে।
তারা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। সংবিধান সংশোধনের পন্থাও স্পষ্টভাবে সংবিধানেই বর্ণনা করা হয়েছে। সংবিধানের নতুন কোন ধারা সন্নিবেশিত করতে হলে বা নতুন কোন আইন প্রণয়ন করতে হলে এবং সংবিধানের কোন ধারা বাতিল করতে হলে তা অবশ্যই সংসদেই করতে হবে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে অন্য কোথাও তা করা যাবে না। এ ছাড়া সংবিধানের প্রিএম্বলসহ ৮, ৪৮ ও ৫৬-এর মত কিছু ধারা সংশোধন করতে হলে তার জন্যে গণভোট অনুষ্ঠান করতে হবে।
তারা আরো বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ স্পষ্ট ভাষায় বিধান দিয়েছে যে, সংবিধানের যে কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণ করতে হবে কেবল মাত্র ‘সংসদের আইন দ্বারা' মোট সংসদ সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে। সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ মানতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাস করার পর সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তারপর সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করতে হবে। কোন আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হলে ৭ (২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংবিধানই প্রাধান্য পায়, অন্য কোন আইন নয়। কাজেই সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ উপেক্ষা করে সংবিধান সংশোধন করে পুনর্মুদ্রণ করা হলে তা টিকবে না। ছলে বলে কৌশলে সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে জাতির ঘাড়ে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিয়ে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোন চেষ্টা জাতি মানবে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদে সকল দল মিলে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন কেয়ারটেকার সরকারকে বৈধতা দিয়েছিল। সংসদে বিল পাস করার পরে গণভোটের মাধ্যমে তা পাস করা হয়েছিল। এসব নজিরকে উপেক্ষা করে আজকে যে প্রক্রিয়ায় সংসদকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান সংশোধন ও পুনর্মুদ্রণ করার নামে ধর্মনিরপেক্ষ জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, জাতীয় সংসদ জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। দেশের সংবিধান জনগণের সম্পত্তি। সংবিধানে কোন ধারা সন্নিবেশিত করতে হলে বা বাতিল করতে হলে তা অবশ্যই জাতীয় সংসদ সদস্যদের আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বিল পাস করার মধ্য দিয়েই করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের আলোচনার সুযোগ না দিয়ে জাতিকে না জানিয়ে সংসদকে পাশ কাটিয়ে যদি সংবিধানের কোন ধারা সন্নিবেশিত করে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তা এই দেশের ইতিহাসে একটি কু-নজির হয়ে থাকবে এবং জনগণ তা কিছুতেই মেনে নেবে না। অন্যদিকে সংবিধানের যে সব ধারা সংশোধনের জন্যে গণভোট প্রয়োজন সে সব ধারা সংশোধনে গণভোট এড়িয়ে যথেচ্ছাচার চালানো জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা আরো বলেন, সরকার যে প্রক্রিয়ায় জাতির ঘাড়ে বাহাত্তর সালের সংবিধানের নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের সকল বিরোধী দলের প্রবল আপত্তি রয়েছে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে অন্য কোথাও কোন সাংবিধানিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা কার্যত সংসদের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতাকে অস্বীকার করার শামিল।
দেশের জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার নামে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় সংবিধান সংশোধন ও পুনর্মুদ্রণ করার মাধ্যমে জাতির ঘাড়ে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিয়ে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জাতিকে বিভক্ত করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহবান জানান।


ফাঁস হয়েছে কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালি!

কোকাকোলা
কোকাকোলা
কোমল পানীয় হিসেবে বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় কোকাকোলার যথাযথ প্রস্তুত প্রণালি পাওয়ার দাবি করেছে একটি ওয়েবসাইট। Thisamericanlife.org নামের এই ওয়েবসাইটের দাবি, একটি পত্রিকায় তারা কোকাকোলা তৈরির বিভিন্ন উপকরণের তালিকা পেয়েছে। এতে ওই পানীয় তৈরির সব উপাদানের সঠিক পরিমাণ রয়েছে।
কোকাকোলার সঠিক প্রস্তুত প্রণালি আজও এক রহস্যের আঁধারে ঢাকা। ১৮৮৬ সালে জন পেম্বারটন নামের এক ফার্মাসিস্ট এই কোমল পানীয় তৈরি করেন। তবে তাঁর এই প্রণালি প্রকাশ করা হয়নি।
কোকাকোলার প্রতিষ্ঠান এই পানীয়র সঠিক প্রস্তুত প্রণালির একটি মাত্র লিখিত কপি সংরক্ষণ করে আসছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় একটি ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। কেউ যাতে কপিটি না পায়, এ জন্য ওই ভল্ট ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেওয়া হয়।
ওই কপি ছাড়া কোম্পানির দুজন মাত্র কর্মী কোকাকোলার মূল প্রস্তুত প্রণালি জানেন। অর্থাৎ, যুগে যুগে কেবল দুজন করে কর্মীর মাধ্যমে প্রণালিটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে টানা ১২৫ বছর ধরে কঠোরভাবে সংরক্ষণের পর কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালি ফাঁস হওয়ার খবরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়েবসাইটের দাবি, ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশন-এর ২৮ পৃষ্ঠায় একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে একটি আলোকচিত্র ছাপা হয়। ওই সময় লেখাটি ঢাকঢোল পিটিয়ে ছাপা হয়নি বলে এর গুরুত্বও কেউ অনুধাবন করেনি। আলোকচিত্রে এমন সব উপকরণের বর্ণনা ও পরিমাণ রয়েছে, যা কোকাকোলার আবিষ্কারক জন পেম্বারটনের কোকাকোলার প্রস্তুত প্রণালির অনুলিপি। প্রস্তুত প্রণালির লেখাটি পেম্বারটনের এক বন্ধুর বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে এটি বিভিন্ন হাত ঘুরে পত্রিকায় চলে আসে।
কোকাকোলার গোপন মূল উপাদানটি হচ্ছে ‘ম্যার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স’। এটি তৈরি করতে যেসব উপকরণ লাগে, সঠিক পরিমাণসহ এসবের বর্ণনা আলোকচিত্রে দেওয়া তালিকায় রয়েছে বলে দাবি করে ওয়েবসাইটটি। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ গ্যালন সিরাপে দুই আউন্স পরিমাণ মার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স যোগ করে কোকাকোলা তৈরি করা হয়। সিরাপ তৈরি করতে লাগে কোকার তরল নির্যাস, সাইট্রিক এসিড, ক্যাফেইন, চিনি, পানি, লেবুর রস, ভ্যানিলা ও ক্যারামেল। আর ‘মার্চেন্ডাইজ সেভেন এক্স’ তৈরিতে লাগে আট আউন্স অ্যালকোহল, ২০ ফোঁটা কমলার নির্যাস, ৩০ ফোঁটা লেবুর নির্যাস, ১০ ফোঁটা জায়ফলের নির্যাস, পাঁচ ফোঁটা ধনের নির্যাস ও ১০ ফোঁটা দারুচিনির নির্যাস। ডেইলি মেইল, অরেঞ্জ অনলাইন।


আড়ি পেতে শোনা
ভালবাসার টানে 
ব্রিটেনের এক বাস ড্রাইভার ২৩লাখ পাউন্ড লটারিতে জিতে নিলেন। তবে পুরনো পেশা ছাড়বেন না বলেও জানিয়ে দিলেন। সহকমর্ীদের ভালবাসার টানে তিনি ফিরে যেতে চান পুরনো পেশায়। 
৪৭ বছর বয়স্ক বাস চালক কেভিন হেলমস্টড গত মার্চ মাসে লটারি জিতেন। এ সময় তিনি তাঁর পুরনো পেশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি তাঁর পুরনো পেশায় ফিরে আসার সিদ্ধানত্ম নিয়েছেন। তিনি বলেন, বাস চালনা আমি দারম্ননভাবে মিস করছি, মিস করছি সহকমর্ীদের। তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে যে পেশায় ছিলাম, হুট করে তা ছেড়ে দেয়া কঠিন। কেভিন দীর্ঘ ১৭ বছর ব্রিটেনের বলটড থেকে প্রিসটন রম্নটে বাস চালিয়েছেন। _দি মিরর
বিশ্বকাপের উদ্বোধন কাল


বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজন

০০ স্পোর্টস রিপোর্টার

অবশেষে চার বছরের সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে উদ্বোধন ঘটতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক ১০ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরের। সুর, আলোর বর্ণিল ছটা ও আতশবাজির রোশনাইয়ে দক্ষিণ এশিয়ার তিন আয়োজক দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার পর বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ এই ক্রীড়া আসরের খেলাগুলো মাঠে গড়াবে রবিবার থেকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিকালে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন। সে সময় তার সাথে থাকবেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি শারদ পাওয়ার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও অর্থ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল এমপি। তারা স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষে ভিভিআইপিতে স্থাপিত অত্যাধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিশ্বকাপ-২০১১-এর উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ সময় স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের শিল্প ব্যাংক ভবনে টানানো বিশাল পর্দায় বিশ্বকাপের প্রতিকৃতি ভেসে উঠবে। একই সাথে শান্তির প্রতীক কপোতের দল ডানা মেলে আকাশে উড়ে যাবে। বাংলাদেশ এই প্রথম কোন খেলার বিশ্বকাপ আয়োজন করার সুবাদে বিরল এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। টুর্নামেন্টের প্রথম খেলায় বাংলাদেশ ও অতিথি ভারত মুখোমুখি হবে। প্রতিযোগিতার সহআয়োজক ভারত অবশ্য বিগত বিশ্বকাপের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করবে। ক্যারিবীয় সাগর পারে চার বছর আগে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশের কাছে হেরেই প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। যদিও এবার পরিস্থিতি সমপূর্ণ ভিন্ন এবং টিম ইন্ডিয়া বিশ্বকাপ জয়ের তালিকায় শীর্ষ ফেভারিট।

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ আসরটি এবার ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের হিসাবে এটি দশম আসর যাতে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দল। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপটির দায়িত্ব পাওয়ার সময় পাকিস্তানও ছিল এর অন্যতম যৌথ আয়োজক। কিন্তু ২০০৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে সফরকারী শ্রীলংকা দলকে বহনকারী বাসে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালালে তাদের কাছ থেকে এ অধিকার কেড়ে নেয় ক্রিকেটের বিশ্বসংস্থা আইসিসি। ৪৯ ম্যাচের এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আটটি, ভারত ২৮টি ও শ্রীলংকা ১৩টি খেলা আয়োজন করবে।

এবারের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করা দেশ ১৪টি দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাউন্ড রবিনভিত্তিতে প্রাথমিক পর্বে অংশ নেবে। এর মানে প্রতিটি দল গ্রুপের অপর ছয়টি দলের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে খেলবে। এ রাউন্ড শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ চারটি করে দল অংশ নেবে কোয়ার্টার ফাইনালে। গ্রুপ 'এ'তে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, কেনিয়া, পাকিস্তান, কানাডা, গেলবারের রানার্স আপ শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ 'বি'তে পড়েছে ভারত, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে মনোমুগ্ধকর ও স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্বকাপের সাংগঠনিক কমিটি ও স্থানীয় আয়োজকরা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আজ বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত মহড়া। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ মহড়া শুরু হয়।

পাঁচ ভাগে বিভক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশের পর বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে শুরু হবে মূল পর্ব। তার আগে অনুষ্ঠিত হবে ৫০ মিনিটের প্রাক উদ্বোধন পর্ব। এতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার ৪ জন করে পুরুষ ও নারী কণ্ঠশিল্পী অংশ নেবেন। পর্বটি শুরু হবে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঝখানে স্থাপিত সুসজ্জিত মঞ্চে স্থানীয় গায়ক ইবরার টিপু ও বালাম, মিলা, কণা ও এলিটা মিলে পরিবেশন করবেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাগত সঙ্গীত। জুলফিকার রাসেল রচিত 'ও পৃথিবী এবার এসে.. বাংলাদেশ নাও চিনে, ও পৃথিবীঃ তোমায় স্বাগত জানাই এইদিনে..' গানটি গাইবেন তারা। এলিটা গাইবেন ইংরেজি অংশ। গানটিতে বাঁশি, বেহালা, তবলা, ঢোল, সানাইসহ ১৮টি অ্যাকুস্টিক বাজান ৪০ জন যন্ত্রশিল্পী।

স্বাগত সঙ্গীতের পর মাঠে প্রবেশ করবে বিশ্বকাপের মাসকাট স্টাম্পি। এর পেছনে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত 'লীড' নামক রিকশায় চড়ে ১৪টি দেশের অধিনায়কের নেতৃত্বে ক্রিকেট দলগুলোর প্রতিনিধিরা মার্চপাস্টে অংশ নেবেন।

কানাডার বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ব্রায়ান অ্যাডামস হবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। অ্যাডামস ঢাকায় আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'এভরিথিং আই ডুঃ' পরিবেশন করবেন বলে জানা গেছে। নিজের সর্বশেষ অ্যালবাম 'বেয়ার বোনস' থেকেও গান পরিবেশনের সম্ভাবনা রয়েছে তার।

বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আলাদা তিনটি পর্বে ফুটিয়ে তোলা হবে ১৩৫ মিনিটের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বাসস জানায়, ভারতের তারকা শিল্পী ও কোরিওগ্রাফাররা 'সিম্পোনি অব কালারস,' শ্রীলংকার সেলিব্রেটি ইভেন্ট 'দি পার্ল অব ইন্ডিয়ান ওশান' এবং বাংলাদেশের 'দি রাইজিং টাইগার অব এশিয়া' নামে পর্ব তিনটি পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশের পর্বে রয়েছে ২০ মিনিটের অনুষ্ঠান। এছাড়া ভারত ১২ মিনিট ও শ্রীলংকা আট মিনিটের অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে।

দেশবরেণ্য নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা বাংলাদেশ পর্ব পরিচালনা করবেন। পর্বটিতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সেনা সদস্য মিলিয়ে ২ হাজার ১শ' জন কোরিওগ্রাফার অংশ নেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মঞ্চের মাটি ফুঁড়ে 'রাখালের বাঁশির সুরে' উপরে উঠে আসবেন শিবলী মোহাম্মদ। বাঁশির সুর শেষেই বাংলাদেশের উপজাতি রাখাইন, সাঁওতাল, চাকমা ও মনিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশিত হবে। এ সময় ঢোল, বাঁশি, দোতরা ও লোকজ সুর বাজানো হবে।

এরপর মহান ২১ ফেব্রুয়ারির স্মরণে মাঠের চারদিক থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ঃ শেস্নাগানে উচ্চকিত হবে চারধার। তখন আবহে বাজবে ওরা আমার মুখের ভাষা ঃ কাইরা ঃ নিতে চায়। গানটি চলাকালে মাঠ জুড়ে আলোকচ্ছটা দিয়ে বাংলা বর্ণমালা ফুটিয়ে তুলবেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। এক কিশোরের গলায় এরপর শোনা যাবে অমর গান-আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি, ঃ পরে একজন মা এ গানটি গাইবেন।

তৃতীয় পর্যায়ে ফুটিয়ে তোলা হবে একাত্তরের মার্চ মাসের অসহযোগ আন্দোলনের মুহূর্তগুলো। আলো ও গোলাগুলির শব্দ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের এ আবহ তৈরি করা হবে।

একদল ছেলে-মেয়ে জয় বাংলাঃ শেস্ন্লাগান দিয়ে ছুটে যাবে। শুরু হবে জয়ঃ বাংলা ঃ বাংলার .. জয় .. গানটি। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, 'এ বারের সংগ্রাম ঃ স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রামে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম' বেজে উঠবে। বঙ্গবন্ধু যখন বলবেন জয় বাংলা ঃ তখন স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের শিল্প ব্যাংকের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা ৬০ ফুট পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অগি্নঝরা মুহূর্ত ফুটে উঠবে। শুরু হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ৪০ সেকেন্ডের আলো ও শব্দের মাধ্যমে ঐতিহ্য চিত্র।

এরপর কবি নজরুলের 'কারার ওইঃ লৌহ কপাট ঃ' গান পরিবেশিত হবে। এক পর্যায়ে চারিদিক থেকে বিশাল আকৃতির ম্যাপসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের ৪টি পতাকা নিয়ে ছুটে আসবে মুক্তিযোদ্ধারা। একদিকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দ ফুটিয়ে তোলা হবে এবং অন্যদিকে দেশমাতৃকার প্রতি ভালবাসা মেলে ধরতে সঙ্গীত পরিবেশিত হবে 'ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা'। এ সময় মধ্যমঞ্চে ফুটে উঠবে শাপলা ফুল।

সব শেষে সুন্দরবনের গহীন বন ফুটিয়ে তোলার পর রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন ও থিম সঙ্গীতের মাধ্যমে আইসিসির পতাকা মেলে ধরা হবে। অতঃপর কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট উপস্থাপন করে বাংলাদেশ পর্বের ইতি টানা হবে।

এর আগে শ্রীলংকার কোরিওগ্রাফার ও শিল্পীরা 'দি পার্ল অব ইন্ডিয়ান ওশান' পর্বের শুরুতেই আলোক রশ্মি ও শব্দের মাধ্যমে সাগরের ঢেউ ফুটিয়ে তুলবেন। মাঠ ও আকাশে ছড়িয়ে যাবে নীল রঙ। এক পর্যায়ে মধ্যমঞ্চে সুরের মূর্ছনায় ফুটিয়ে তোলা হবে মুক্তা। মুক্তাটির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবেন শ্রীলংকান একজন তারকা অভিনেত্রী।

ভারতের কোরিওগ্রাফার সন্তোষ শেঠজির পরিচালনায় সেদেশের কোরিওগ্রাফার ও শিল্পীরা পরিবেশন করবেন 'সিম্পোনি অব কালারস'। বার মিনিটের এ পর্বে ভারতের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরবেন শিল্পীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষপর্বে আতশবাজি ও আলোক রশ্মির মায়াজালে ক্রিকেটামোদীদের আচ্ছন্ন করে দেবেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে আলোর ঝর্নাধারায় ভাসিয়ে তুলতে তিন ধাপে বিভিন্ন স্থানে স্পট লাইট বসানো হয়েছে। রংবেরংয়ের লাল-নীল-সবুজ-হলুদ-সাদা, বেগুনি আলোর খেলা দর্শকদের বিমোহিত করবে।

অনুষ্ঠানটিতে বিশ্বকাপের অফিসিয়াল থিম সঙ্গীত 'জিতবে এবারঃ জিতবে ক্রিকেট' এবং হিন্দীতে 'দে ঘুমাকে.. ঘুমাকে (মার ঘুরিয়ে)' সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ভারতের বিখ্যাত শিল্পী শংকর মহাদেভন। গানটি একই সঙ্গে হিন্দি ও সিংহলি ভাষায়ও পরিবেশিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। ক্রিকেটের বিশ্ব সংস্থা আইসিসি অনুষ্ঠানটির জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান উইজক্রাফটকে দায়িত্ব দিয়েছে।