Saturday, February 19, 2011

ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধ আজ শুরু : প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত


স্বাগতিক বাংলাদেশ আর হট ফেভারিট ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে আসরের বিশ্বকাপ ক্রিকেট। মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের যেখানে আছে সুখস্মৃতি, সেখানে ভারতকে এখনও তাড়া করছে গত বিশ্বকাপের দুঃখস্মৃতি। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল ভারত। আর সেই হারেই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় গতবারের অন্যতম হট ফেভারিট ভারতকে।
এ বিশ্বকাপের ফরম্যাটে পরিবর্তন জানা হয়েছে। ‘বি’ গ্রুপে ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। গত বিশ্বকাপের মতো প্রথম ম্যাচ হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়ার ভয় নেই ভারত-বাংলাদেশ কারও। এমনকি গ্রুপে নিজেদের টানা প্রথম তিন ম্যাচ হারলেও পরের তিন ম্যাচে জিতে গ্রুপের চতুর্থ দল হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে দু’দলেরই। সেসব দিক বিবেচনায় নিলে প্রথম ম্যাচটাকে দু’দলের বিশ্বকাপের ‘ওয়ার্মআপ’ ম্যাচও বলা যায়। কিন্তু আসলে তা নয়। ভারত-বাংলাদেশ দু’শিবিরই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটাকে দেখছে অন্য মর্যাদায়। ম্যাচটাকে ঘিরে দু’দলের মধ্যেই ভর করছে অনন্ত চাপ। বাংলাদেশ চাইছে, গত বিশ্বকাপের সুখস্মৃতির পুনরাবৃত্তি। আর ভারতের লক্ষ্য একটাই, যে কোনো মূল্যে গতবারের দুঃখস্মৃতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে ম্যাচটাকে জিতে নেয়া। সাকিব বাহিনীর ওপর আছে ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ। অন্যদিকে ধোনি বাহিনীর ওপর আছে ১০০ কোটির বেশি মানুষের চাপ। তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ নয়, ভারতের ওপরই চাপটা আছে বেশি।
তবে সার্বিক বিচারে আজকের ম্যাচে পরিষ্কার ব্যবধানে ফেভারিট ভারত। বাংলাদেশ-ভারত এ পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে ২২ বার। তাতে ভারতের জয় ২০ বার। বাংলাদেশ মাত্র দুইবার জিতেছে। তবে বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক বাংলাদেশই। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ৩৬ বছরের ইতিহাসে এ দু’দল একবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। তবে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হচ্ছে বর্তমান দলটি। টেস্ট ক্রিকেটে ভারত বিশ্বসেরা। ওয়ানডেতে আছে র্যাঙ্কিং-এ দুই নম্বরে। শচীন, সেহওয়াগ, গৌতম গম্ভীর, বিরাট, কোহলি, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ইউসুফ পাঠানোর মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান আছে ভারতীয় দলে। বোলিং আক্রমণে আছে জহির খান, আশীষ নেহরা, হরভজন সিং, পিযুষ চাওলা, শ্রীশান্ত ও মুনাফ প্যাটেলের মতো বোলার। দলটির মূল শক্তি তাদের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গভীরতা। বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপ হচ্ছে ভারত। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যদি একবার পার্টনারশিপ গড়তে পারেন, তাহলে তা কত ভয়ঙ্কর হয় তার উদাহরণ আছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটেই। বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সেরা তিনটি পার্টনারশিপই গড়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড় ৩১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ছিলেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিপক্ষে ২৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন শচীন-সৌরভ জুটি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ২৩৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়েন টেন্ডুলকার-দ্রাবিড় জুটি। প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও ভারতীয় দল আছে ভালো ফর্মে। আজ দিবারাত্রির ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের মাটিতে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসেছে ভারত। তাতে ধোনির দল প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৮ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১১৭ রানে হারিয়ে বেশ চাঙ্গা।
অন্যদিকে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলও আছে মানসিকভাবে বেশ শক্ত অবস্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিং-এ পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে টাইগাররা। নিজেদের মাটিতে গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডে ম্যাচে সিরিজ হারিয়েছে। জয় পেয়েছে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট লীগ শেষ করায় ক্রিকেটাররা ম্যাচের মধ্যেই ছিল। তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দল বেশ ব্যালান্সড। তামিম, সাকিব, ইমরুল, জুনায়েদ, রাকিবুলের মতো ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি শফিউল, রুবেল, রাজ্জাক, সাকিবের মতো বোলারও আছেন বাংলাদেশ দলে। বাংলাদেশ দলের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। দলে আছেন তিনজন বাঁহাতি স্পিনার। স্পিন বলের বিপক্ষে বরাবরই ভালো ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এছাড়া দলে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় বাংলাদেশের স্পিন অ্যাটাক সামলাতে বেগ পেতে হবে না তাদের। ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের সেরা বোলার মাশরাফির এ বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপে তামিম, সাকিব আর মুশফিকের ব্যাটে ভর করেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় শিবিরে আসল আঘাতটা করেছেন মাশরাফিই। ৯.৩ ওভার বল করে ২টি মেডেন দিয়ে মাত্র ৩৮ রানে ভারতের চারটি উইকেট নেন এ পেসার। ভারতের টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান গাঙ্গুলী, সেহওয়াগ, রবীন উথাপ্পাকে সাজঘরে দ্রুত পাঠানোয় ৪৯.৩ ওভারে মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
এ বিশ্বকাপে মাশরাফির অভাবটা বেশ তীব্রভাবেই অনুভব করবে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাকিব বাহিনী দেশের মাটিতে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে কানাডাকে তামিমের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করা পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান করেছিল। ম্যাচে অধিনায়ক সাকিব ৪৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পান। বাংলাদেশ অধিনায়ক পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মোট ৯ জন খেলোয়াড়কে ব্যবহার করে রানের চাকা থামাতে পারেননি। ম্যাচে মাশরাফির অভাবটা তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে আজ ভারতের বিপক্ষে নতুন উদ্যমে মাঠে নামবে টাইগাররা। মিরপুর স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
আজকের ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল ভারত-বাংলাদেশ দু’দলই সকালের সেশনে মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’দলকেই বেশ উজ্জীবিত মনে হয়েছে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দু’দলই ম্যাচজয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামব। শুধু আজকের ম্যাচ নয়, আমরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। মাশরাফি দলের সেরা বোলার। মাশরাফিকে মিস করবে বাংলাদেশ।’ অন্যদিকে ভারতীয় দলনেতা মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। দলে বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার আছেন। গত বিশ্বকাপের কথা মনে করতে চাই না আমরা। ম্যাচ জেতার জন্যই মাঠে নামবে আমার দল।’
মিরপুর স্টেডিয়ামে এর আগে পাঁচবার খেলেছে বাংলাদেশ-ভারত। সবক’টি ম্যাচই জিতেছে ভারত। ব্যাটিং সহায়ক এ উইকেটে টসজয় গুরুত্বপূর্ণ হবে। আগে ব্যাট করা দল সুবিধা পাবে। রাতে কুয়াশা পড়লে রান তাড়া করা কঠিন হবে। ম্যাচে জেতার জন্য আগে ব্যাট করা দলকে অন্তত ২৭০/২৮০ রান করতেই হবে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের এমনই অভিমত। আজকের ম্যাচের আগে কেউই চূড়ান্ত একাদশের নাম ঘোষণা করেনি। তবুও নিচে দু’দলের সম্ভাব্য একাদশের তালিকা দেয়া হল—
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : সাকিব-আল-হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল (সহ-অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাঈম ইসলাম, রকিবুল হাসান, আবদুর রাজ্জাক, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম ও মুশফিকুর রহিম।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), বীরেন্দ্রর সেহওয়াগ (সহ-অধিনায়ক), পিযুষ চাওলা, গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিং, জহির খান, বিরাট কোহলি, মুনাফ প্যাটেল, ইউসুফ পাঠান, সুরেশ রায়না ও শচীন টেন্ডুলকার।

Dream World Cup kicks-off today thru’ BD-India match


The long awaited dream of ICC Cricket World Cup' 2011 kicks-off in Dhaka today (Saturday) through India-Bangladesh high voltage match at Sher-e-Bangla National Cricket Stadium in Dhaka amid huge enthusiasm of cricket crazy fans.
The day-night opening match of the 10th ICC Cricket World Cup starts at 2:30 pm (BST) at the renovated and well-decorated 25,000-capacity stadium. State-owned Bangladesh Television (BTV) will telecast the match live.
Bangladesh will show up in the field today with a sweet memory of beating India in the opening match of the last World Cup at the Port of Spain in West Indies in 2007 forcing early exit of the 1983 world cup Champions India.
Favorite India is also eagerly waiting for taking revenge of their embarrassing defeat against Bangladesh four years ago.
As Bangladesh co-hosts the dream world cup for the first time, the 3rd time in the subcontinent, the cricket fever swept through capital Dhaka and well as the whole country after staging a tremendous opening ceremony Thursday evening.
From Thursday, the day of the opening ceremony, the cricket fans turned the capital into a festive city, parading through the streets in group processions outside the games venue and other important points, chanting lone slogan "Bangladesh, Bangladesh."
Both the teams made practices at Sher-e-Bangla National Cricket Stadium. Tigers led by their captain Shakib-Al-Hasan- made practice in the morning while MS Dhoni-led India in the afternoon.
At a pre-match press briefing at the games venue on Friday, the Bangladesh captain said, "we like to start World Cup with a win against India as we have been playing good cricket recently."
"Our players now come to the field with a positive mindset and most of the boys performing consistently" he added.
Shakib said "every match will be equally important for us, we like to proceed match by match."
Asked about facing the favorite India, the tigers' captain Shakib said, "I think our boys are old (matured) to handle game."
About absence of key pace bowler Mashrafe, Shakib said, "Mashrafe is a great performer, no doubt, but my guys in the squad are also doing well."
Asked about his feeling as captain of the co-host country, "I am enjoying the celebration of cricket fans. They turned up to see the stadium till mid-night and made the stadium area into a place of festivity wishing Bangladesh's success."
Addressing newsmen Indian captain Mahendra Singh Dhoni said he expects a good contest against Bangladesh today (Saturday).
Regarding Saturday's match, Dhoni said, "I expect a good contest (against Bangladesh), as Bangladesh is a good and balanced side and also playing on the home ground." The India captain said his team is in good shape ahead of the match saying, "we have performed well in the last two years."
"We are set to one of the favourites, as we are happy with our preparations, our bowlers are bowling well, batting is consistent and fielding has improved, I think our spinners will play a major role in the home condition.
India is considered a favorite in the tournament because of its batting lineup led by Sachin Tendulkar, Virender Sehwag, Gautam Gambhir, Yuvraj, Dhoni and Yusuf Pathan- all are considered as match-winners.
India and Bangladesh are in Group B along with England, South Africa, West Indies Ireland and the Netherlands. Four teams will advance to the quarterfinals.
Probable Bangladesh Team: Tamim Iqbal, Imrul Kayes, Junaid Siddique, Mushfiqur Rahim (Wk), Raqibul Hasan, Shakib Al Hasan (Cap), Mahmudullah Riyad, Naeem Islam, Abdur Razzak, Shafiul Islam and Rubel Hossain.
Probable Indian Team :Virender Sehwag, Sachin Tendulkar, Gautam Gambhir, Virat Kohli, Yuvraj Singh, Mahendra Singh Dhoni (Capt and Wk), Yusuf Pathan, Harbhajan Singh, Zaheer Khan, Ashish Nehra and Munaf Patel.

al-Qaeda No 2 issues video after Egypt upheaval

al-Qaeda's deputy leader, Ayman al-Zawahri, issued the terror network's first message since the upheaval began in Egypt, saying the country's rule has long "deviated from Islam" and warning that democracy "can only be non-religious."
The wave of popular protests that ousted Egypt's president, Hosni Mubarak, appeared to have caught al-Qaeda off guard. The terror group had long called for the destruction of Mubarak's regime — and al-Zawahri, an Egyptian doctor, was part of a militant uprising against Mubarak in the 1990s that was crushed.
But the demonstrations were led by secular, liberal activists calling for greater democracy — in stark contrast to the Islamic state that al-Zawahri and al-Qaeda call for. In past videos and messages, al-Zawahri has frequent denounced democracy because it replaces God's laws with man's.
In the 34-minute videotape issued Friday, al-Zawahri makes no mention on the protests or Mubarak's fall. The video is dated to the Islamic lunar month of Safar, which corresponds with the dates January 5-February 3. It gives no more specific date for its creation.
The only hints that it may have been made since the upheaval that began January 25 were its title, "A Message of Hope and Glad Tidings to Our People in Egypt," and a vague reference by al-Zawahri to "what happened and happens in Egypt."
In it, he gives a long, detailed lecture on Egypt's modern history from the 18th Century, blaming Western colonialists for implanting secular, un-Islamic law, according to a transcript by the SITE Intel group, a US group that monitors militant messages. It said the video, which showed only a still photo of al-Zawahri as his voice is aired, was posted on Islamic militant websites.
The video said it was the first of two parts, aimed at answering the question "what is the reality through which Egypt is living?"
"The reality of Egypt is the reality of deviation from Islam," al-Zawahri said.
He called the Egyptian regime — apparently referring to Mubarak's rule — "a regime that rules the people through the use of torture, rigged elections, corrupt media and an unjust justice system."
He dismissed the claims by Mubarak's regime of democracy, and then dismissed democracy in general. Democracy, he said, "means that sovereignty is to the desires of the majority, without committing to any quality, value or creed. A democratic state can only be secular, meaning non-religious."
For the remainder of the video, he describes Egypt's fall into secularism from its former Islamic rule under the Ottoman Empire.
The video did not say when the second part was to be released, but it appeared that in it al-Zawahri was to answer a second question, "How do we change this reality to what Islam wanted us to have."
Al-Zawahri, like al-Qaeda chief Osama bin Laden, is believed to be in hiding in the mountainous border regions of Afghanistan and

রবীন্দ্রনাথও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন: আজহার

 জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন। আমাদের প্রগতিশীল বন্ধুরা এটা ভুলে গেছেন। তিনি বলেন, ১৯১৮ সালে কলকাতায় শান্তি নিকেতনে এক আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দিকে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার প্রতিবাদ করেছিলেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আজহার আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষের জন্য হিন্দি ভাষাকে প্রস্তাব করে মহাত্মা গান্ধীকেও চিঠি লিখেছিলেন। আমাদের বন্ধুরা এটা ভুলে গেছেন।
বর্তমানে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে এটিএম আজহার আরো বলেন, দেশে এখন নতুন নতুন ভাষা সৈনিক তৈরি হয়েছে। যারা প্রকৃত অর্থে ভাষার জন্য লড়াই করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন তাদের কথা সবাই ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল ভাষা আন্দোলন করেনি। তৎকালীন ইসলামী ভাবধারার তমুদ্দুন মজলিস-ই প্রথম ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন অধ্যাপক গোলাম আজম। তিনি আরো বলেন, গোলাম আজমই রংপুর রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর সমালোচনা করে আজহার বলেন, তিনি অধ্যাপক গোলাম আজমকে যুদ্ধাপরাধের প্রতীক বলে সবকিছু আড়াল করার চেষ্টা করছেন। গোলাম আজম প্রতীক হলে টিক্কা খান-ইয়াহিয়া খান কে?
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ এতদিন মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিয়েছে এখন ভাষা আন্দোলনের সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মোবারকের মতো বর্তমান সরকারকেও পালাতে হবে। অত্যাচার নির্যাতন করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এটা মিসরের মানুষ দেখিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এতদিন অপেক্ষা করবে না।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন- প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, আইন বিভাগের সেক্রেটারি মশিউল আলম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. রিদওয়ানুল্লাহ শাহেদী, এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার, সেলিম উদ্দীন, মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

উদ্ধারকর্মীরা মরতে দিল না অভিমানী প্রেমিককে


ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডেস্ক) : প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে এক চীনা যুবক আত্মহত্যার জন্য ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা তাকে মরতে দিল না। লাফ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিরোচিত ভাবে ধরে ফেলে এ অভিমানি যুবককে। পরে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুজিয়ে তাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। পূর্ব চীনের নিংবো শহরে এ ঘটনা ঘটে।
২৩ বছর বয়সী এ চীনা যুবক তার প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে বিমর্ষ হয়ে সারারাত কার পার্কে রাত কাটায়। বিমর্ষতা কাটিয়ে উঠতে না পেরে অবশেষে সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১৩ তলা এক হাসপাতালের ছাঁদে ওঠে ঝাপ দেয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার অভিসন্দি টের পায় একদল উদ্ধারকর্মী। লাফ দেয়ার জন্য রেলিং ধরে ঝুলে পড়তেই তারা তাকে ধরে ফেলে। পরে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে দড়ি কপিকল দিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় তাকে নিরাপদে ছাঁদে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গত অক্টোবরে দক্ষিণ চীনের মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা যায় যে, ২০০৯ সালে চীনে তরুণদের অকাল মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল আত্মহত্যা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় , প্রতি ১ লাখ তরুণের মধ্যে শতকরা ৬.৩ জন আত্মহত্যায় মারা যায়। যা ২০০৮ সালের চেয়ে শতকরা ২.৪ ভাগ বেশি।

কম্পিউটার গেমের জন্য মাকে হত্যা


ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডেস্ক): কম্পিউটার থেকে গেম ডিলিট করায় ১৬ বছরের বালক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে তার মাকে হত্যা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ফিলাডেলফিয়ায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকারী বালক কেন্ডাল অ্যান্ডারসন আদালতে এ হত্যার কথা স্বীকার করেছে।আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কম্পিউটার থেকে পছন্দের গেম ডিলিট করায় ১৬ বছরের বালক কেন্ডাল অ্যান্ডারসন তার মায়ের ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় মা রাশিদাকে পেরেক টেনে তোলার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ২০ বার আঘাত করার পরেও মারা না যাওয়ায় সে তার মাকে টেনে নিয়ে যায় কিচেনে। সেখানে ওভেনে ঢুকিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে সে চেয়ারের পায়া দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে মৃতদেহ বাড়ির পিছনে আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখে। পুলিশ আবর্জনার স্তূপ থেকে তার মায়ের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নীল রঙের ডোরাকাটা পোলো শার্ট ও সাধারণ ট্রাউজার পরে আদালতে হাজির হয় কেন্ডাল অ্যান্ডারসন। আদালতে সে তার দোষ স্বীকার করেছে। তবে এখন সে খুবই অনুতপ্ত। দোষ স্বীকারের পরে সে বলে, আমি সত্যিই মাকে মিস করছি। একমাত্র সেই আমার যত্ন করত। পুলিশকে দেয়া বিবৃতিতে এ বালক বলে যে, সে প্রথমে সিদ্ধান্ত স্থির করতে পারছিল না যে মাকে তার হত্যা করা ঠিক হবে কি না। প্রায় ৩ ঘণ্টা দ্বিধা দ্বন্দ্বে কাটানোর পরে সে তার মাকে হত্যা করেছে।

বৃটেনের রাজকীয় বিয়েতে নিমন্ত্রণ পাওয়ার দাবিতে অনশন


 বৃটেনের প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাওয়ার দাবিতে মেক্সিকোর বৃটেন দূতাবাসের সামনে অনশন করছে এক কিশোরী। ১৯ বছর বয়সী এস্টিব্যালিস শ্যাভেজ দূতাবাসের গেটের কাছে একটি নীল তাঁবুতে অবস্থান করেই বৃটেনের কাছে তার দাবি জানাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন গত নয় দিনে তিনি পানি ছাড়া আর কিছুই খাননি। ‘রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত করে তারা কি আমার মৃত্যু দেখতে চায়’- পোস্টারে লিখে দূতাবাসের গেটের কাছে অনশন করছেন শ্যাভেজ। প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটনের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবির নিচে অন্য একটি ব্যানারে শ্যাভেজ লিখেছেন ‘এটা আমার একমাত্র স্বপ্ন’। শ্যাভেজের এই অনশনের ব্যাপারে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। শ্যাভেজ বলেছেন, তার মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার ভক্ত ছিলেন। তার জন্মের সময় মা মারা যান। এ জন্য তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি অবশ্যই প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। শ্যাভেজ আরও বলেন ‘বৃটিশ দূতাবাস ইচ্ছে করলেই এ ব্যাপারে বৃটেনে কথা বলতে পারে। কিন্তু তারা তা করছে না, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আমি সে অনুষ্ঠানে যেতে পারছি না আমি অনশন চালিয়ে যাব’। আগামী ২৯শে এপ্রিল ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে এই যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখোমুখি বাংলাদেশ

এক নজিরবিহীন অন্যরকম সাংবিধানিক সঙ্কটের মুখোমুখি বাংলাদেশ। বিশিষ্ট আইনবিদ ড. শাহদীন মালিক ১৬ই ফেব্রুয়ারি বৈশাখী টিভিতে প্রশ্ন তুলেছেন, পুনঃমুদ্রিত সংবিধান আদৌ কার্যকর কিনা। এর মানে হলো- এটিকে বাংলাদেশের সংবিধান বলা যাবে নাকি শুধুই সাদা কাগজের বাণ্ডিল? ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সংসদের অনুমোদন ছাড়া এটা কার্যকর হবে না। এমনকি আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও সংসদে বলেছেন, আদালত সংবিধান সংশোধন করতে পারে না। সামরিক ফরমান দিয়ে করা পরিবর্তন বাতিল করতে পারে। তবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, পুনঃমুদ্রিত সংবিধানই বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান, যা আপিল বিভাগের রায়দান থেকে কার্যকর। অন্যদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, আমরা কি এটাকে খসড়া ধরে কাজ করবো। আর বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাংলাদেশ সংবিধান যে এখন একটি সাংঘর্ষিক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু। আবার সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস তুলে দেয়া হলো। সেখানে বসেছে ধর্মনিরপেক্ষতা। আবার বলা হলো, রাষ্ট্র কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দেবে না। কিছুদূর গিয়ে দেখা যাবে, সংবিধানই বলছে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আবার সংবিধানই বলছে, ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করার অধিকার কারও থাকবে না। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দল নিষিদ্ধ হবে না। সব মিলিয়ে এরকম একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি হয়ে আছে। তবে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আশ্বস্ত করেছেন, তারা শিগগিরই সংবিধান সংশোধন বিল আনবেন।
পুনঃমুদ্রিত সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও তৎপরতা নিষিদ্ধ থাকা সংক্রান্ত শর্তাংশ পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতাসহ পুনঃস্থাপিত হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। তবে পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র সংশোধনের ঝক্কি-ঝামেলা ও মানুষের দুর্ভোগের কারণ দেখিয়ে নাগরিকত্বের পরিচয় ‘বাংলাদেশী’ রাখা হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদে বলা ছিল, বাংলাদেশের নাগরিকরা বাঙালি বলে পরিচিত হবেন। হাইকোর্ট এটাই পুনর্বহাল করেন। কিন্তু আপিল বিভাগ ‘বাংলাদেশী’ পরিচয় সমুন্নত রাখে। পুনঃমুদ্রিত সংবিধানেও তাই রাখা হয়েছে।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৫ সালের ২৯শে আগস্ট পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর বিরুদ্ধে বিএনপি সমপ্রতি লিভ টু আপিল (আপিল অনুমতির আবেদন) করে। আপিল বিভাগ গত বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি তা খারিজ করে। আপিল বিভাগের ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত রায় লিখেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম। আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারক বর্তমান প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম, বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বিচারপতি বিজন কুমার দাস, বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এসকে সিনহা রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কেউ আলাদাভাবে কোন পর্যবেক্ষণ দেননি। তারা গত ২৭শে জুলাই, ২০১০ পূর্ণাঙ্গ রায়ে সই করেন। এরপর আইন মন্ত্রণালয় আমলাদের দিয়ে একটি কমিটি করে। সংসদে একটি বিশেষ কমিটি হয়। কিন্তু সেই কমিটির সামনে পুনঃমুদ্রিত সংবিধান পেশ করা হয়নি বলে জানা যায়। লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং উইংয়ের আমলা কমিটি এটি পাস করেছে।
ধর্মের প্রশ্ন: বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মসংক্রান্ত কয়েকটি বিধান ছিল। পঞ্চম সংশোধনীতে তা বিলোপ করা হয়। হাইকোর্টের রায়ে বিসমিল্লাহ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। আইনমন্ত্রী মনে করেন, এটি সংবিধানের অংশ নয়। আপিল বিভাগের রায়েও এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৬ই ফেব্রুয়ারি আরটিভিতে বলেন, বিসমিল্লাহ যেখানে লেখা সেটি সংবিধানের অংশ নয়। পঞ্চম সংশোধনীতে ১২ অনুচ্ছেদটি পুরোপুরি বিলোপ করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত সংবিধানে  ১২ অনুচ্ছেদটি অনুপস্থিত। শুধু লেখা ছিল ‘বিলুপ্ত’। মূল অনুচ্ছেদে লেখা ছিল সব ধরনের সামপ্রদায়িকতা, রাষ্ট্র দ্বারা কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, ধর্মের অপব্যবহার ও ধর্ম পালনের কারণে ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বিলোপ করা হবে। এখন ১২ অনুচ্ছেদ ফিরে এলো। তবে এই অনুচ্ছেদটি এখন রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিভাগে। তাই এর কোন লঙ্ঘন ঘটলে তা আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হবে না। কিন্তু ৩৮ অনুচ্ছেদের বিলুপ্ত অংশ ফিরে আসায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কার্যত নিষিদ্ধ হবে। পঞ্চম সংশোধনীতে এটিও বিলোপ করা হয়। ৩৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক কোন সমিতি বা সংঘ গঠন করা বা তার সদস্য হওয়ার বা অন্য কোন প্রকারে তার তৎপরতায় অংশ নেয়ার অধিকার কোন নাগরিকের থাকবে না।
প্রস্তাবনা: মূল সংবিধানের  প্রস্তাবনায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অংশগ্রহণকে ‘জাতীয় মুক্তি’ ও জাতীয় মুক্তি-সংগ্রামের লক্ষ্যে পরিচালিত বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীতে জাতীয় মুক্তি ও জাতীয় মুক্তি-সংগ্রাম মুছে ‘জাতীয় স্বাধীনতা’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হয়। এখন আবার আগের অবস্থা ফিরে এলো। জাতীয় মুক্তি-সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও প্রাণোৎসর্গের চেতনা ছিল চারটি। এগুলো সংবিধানের মূলনীতি। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। পঞ্চম সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেয়া হয়। সমাজতন্ত্র শব্দটি রেখে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়, সমাজতন্ত্র মানে হবে- অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার। আর নতুন করে এখানে যোগ করা হয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, এখন তা থাকবে না। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাই  হবে বাংলাদেশ সংবিধানের চার মূলনীতি। পুনঃমুদ্রিত সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদে এই চার মূলনীতি ফিরে এলো। এই চার মূলনীতি হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলসূত্র। এমনকি আইন ও সংবিধান ব্যাখ্যারও সূত্র হবে এই চারটি বিষয়। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীতে এই অনুচ্ছেদটিতেও পরিবর্তন আনা হয়। বলা হয়, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস হবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি। এখন এটিও আর থাকলো না।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ: বাহাত্তরের মূল সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদের শিরোনাম ছিল জাতীয়তাবাদ। ‘ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করিয়া জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করিয়াছেন, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হইবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি।’ এটি অবিকল ফিরে এলো। পঞ্চম সংশোধনীতে এটি সম্পূর্ণ বিলোপ করা হয়েছিল। বসানো হয়েছিল একটি নতুন অনুচ্ছেদ। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সঙ্গে একমত হন যে, বিদ্যমান অনুচ্ছেদটি থাকা নিরর্থক। সেখানে বলা ছিল, ‘স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ দান এবং এতে কৃষক, শ্রমিক ও নারীদের বিশেষ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হইবে।’ বাহাত্তরের সংবিধানে ১০ অনুচ্ছেদটি বিলোপ করা হয়েছিল। এখন এটি ফিরে এলো; যেখানে বলা আছে, ‘মানুষের ওপর মানুষের শোধন হইতে মুক্ত ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ লাভ নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হইবে।’ পঞ্চম সংশোধনীতে লেখা হয়েছিল, ‘জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।’
পররাষ্ট্র: আগের ২৫ অনুচ্ছেদ থেকে একথা লুপ্ত করা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত, সংরক্ষণ ও জোরদার করিতে সচেষ্ট হইবেন।’ জিয়া বিধান করেছিলেন, বিদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি সংসদে ফেম করতে হবে। কিন্তু সে বিধানটিও পুনঃমুদ্রিত সংবিধানে বাদ পড়েছে।
গণভোট: বাহাত্তরের সংবিধানে সংবিধান সংশোধনের জন্য কোন গণভোটের বিধান ছিল না। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংবিধানের যে কোন অনুচ্ছেদ পরিবর্তন বা সংশোধন করার পথ খোলা ছিল। পঞ্চম সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, সংবিধানের প্রস্তাবনার অথবা ৮, ৪৮, ৫৬, ৫৮, ৮০, ৯২ক অনুচ্ছেদ অথবা ১৪২ অনুচ্ছেদের কোন বিধানাবলীর সংশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে, এমন বিল পাসে সংসদ যথেষ্ট নয়। তাকে তা গণভোটে পাস করাতে হবে। ’৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনীতে ৯২ক বিলুপ্ত হয় এবং ১৪২ অনুচ্ছেদে নতুন বিধান করা হয় যে, ‘প্রস্তাবনা ৮, ৪৮, ৫৬ ও ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হলে গণভোট লাগবে।’ দ্বাদশ সংশোধনীতে তা পাস হয়। তবে এখন তা বিলুপ্ত হলো। যে কোন সংবিধান সংশোধন বিল পাস করাতে এখন থেকে গণভোট করতে হবে না।
উল্লেখ্য, পঁচাত্তরের ২০শে আগস্ট থেকে ’৭৬ সালের ২৯শে নভেম্বর পর্যন্ত যা কিছু ফরমান, বিধি জারি ও কাজ করা হয়েছে, তাকে ঢালাও বৈধতা দেয়া হয় এবং সে জন্য ওই তফসিলে ৩ক যুক্ত করা হয়। এখানেই বলা আছে, সামরিক আইনে যা কিছুই করা হোক না কেন, কোন আদালতে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ ধরনের বাক্য সংযোজন সংসদের এখতিয়ার বহির্ভূত। আপিল বিভাগ বলেছে, একাদশ ও দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমেও এই তফসিলে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত যাবতীয় পর্যবেক্ষণ অপ্রয়োজনীয়। সে কারণে তা হাইকোর্টের রায়ের অংশ নয় বলে ঘোষণা করা হলো। কিন্তু পুনঃমুদ্রিত সংবিধানে আপিল বিভাগের দোহাই দিয়েই ওই ৩ক বিলোপ করা হয়েছে। এছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদ থেকে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শের বিধান তুলে দিয়েছে। অথচা হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগ তা তুলে দিতে বলেনি। এর ফলে নিম্নআদালতের বিচারকদের ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। আইন বিশ্লেষকরা বলেছেন, আদালত কর্তৃক মার্জনা করা হয়েছে- এমন বহু ক্ষেত্রে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আনা পরিবর্তন বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সেরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বর্ণাঢ্য ও সফল আয়োজন সারা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে। টেলিভিশন সমপ্রচারের হিসেবেও বিপুলভাবে সফল এ অনুষ্ঠান।

ইএসপিএন জানিয়েছে, সমপ্রচারের র্যাংকিংয়ে ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে আছে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান (৯.৬৯ পয়েন্ট)।

অপরদিকে ফিফা বিশ্বকাপের পয়েন্ট ছিল ৯.৫৮। ঢাকার সামনে আছে শুুধুই বেইজিং অলিম্পিক। বেইজিংয়ের পয়েন্ট ৯.৭৮। এখন শুধু এই বর্ণাঢ্য আয়োজনকে খেলায় অনূদিত করার অপেক্ষা।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের উদ্যোগে চোখ ধাঁধানো আলো, রংয়ের বাহার ও আতশবাজির ঝলকানিতে মন কেড়ে নেয় কোটি কোটি মানুষের। বাংলাদেশের রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, বলিউডের সনু নিগম , কানাডিয়ান সঙ্গীত শিল্পী ব্রায়ান এডামসের মন মাতানো পরিবেশনা মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের। তবে পাল্টা একটা চমকও পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন বৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেরা আয়োজকদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম উঠে গেছে বাংলাদেশের। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ঢাকার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

লিবিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ২৪

সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমানোর উদ্দেশে লিবিয়ার পুলিশের গুলিতে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ২৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর জানায়। ‘ক্ষোভ দিবসে’ এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এইচআরডব্লিউ-এর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জীবন রক্ষার দরকার না হলে সরকারের উচিত মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা। আর গুলি করার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ‘মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ দেয়ার জন্য লিবিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইইউ-এর মুখপাত্র ব্যারোনেস অস্টন বলেন, ‘সব ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সহিষ্ণুতা প্রদর্শনেরও আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
এর আগে বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানায়, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমের শহর আল-বাইদা ও পশ্চিমের বেনগাজিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছে। মিসর ও তিউনিসিয়ার জনপ্রিয় অভ্যুত্থানের অনুসরণে বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ‘ক্ষোভ দিবস’ আহ্বান করে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসনের দাবিতে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওয়েবসাইট ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে উদ্ধৃত করে আল-অ্যারাবিয়া বার্তা সংস্থা জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী ও ‘বিপ্লবী কমিটি’র সদস্যরা আল-বাইদা শহরে শান্তিপূর্ণ তরুণ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়, এতে অন্তত ৬ জন মারা যায়। এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বেনগাজি শহরেও ৬ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। আহত হয়েছে অন্তত ৩৬ জন। উল্লেখ্য, কর্নেল গাদ্দাফি আরব বিশ্বের নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় ১৯৬৯ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন গাদ্দাফি।

গুয়ান্তানামো বন্ধের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ : গেটস

ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই এক বছরের মধ্যে গুয়ান্তানামো বন্দি শিবির বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন। অথচ তার কার্যকালের অর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলছেন, গুয়ান্তানামো বন্ধের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ক্ষমতায় আসার দুই দিনের মাথায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে তা পালন করতে না পারার দৃষ্টান্ত মোটেই বিরল নয়। পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক দেশের মানুষেরই ব্যাপারটা গা-সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু নেতার নাম যদি হয় বারাক ওবামা এবং প্রতিশ্রুতির বিষয় হয় গুয়ান্তানামো কারাগারের ভবিষ্যত্, তখন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বের মানুষের নজর থাকে সেদিকে। যতই আন্তরিকতার সঙ্গে গুয়ান্তানামো বন্দি শিবির বন্ধ করতে চান না কেন, ক্ষমতায় আসার পর ওবামা হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছেন বিষয়টা কতটা জটিল। পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়ে তিনি কিছুটা দমে গেছেন। তবে এখনও হাল ছাড়তে রাজি নন ওবামা।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের এক কমিটি স্পষ্ট ভাষায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল গুয়ান্তানামোর ভবিষ্যত্ সম্পর্কে। জবাবে গেটস বলেন, খোলাখুলি বলতে গেলে গুয়ান্তানামো বন্দি শিবির বন্ধ করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। জটিলতার অন্যতম কারণ হিসেবে গেটস বলেন, কিউবার ভূখণ্ডে অবস্থিত ওই শিবিরে এখনও প্রায় ১৭২ জন বন্দি রয়েছে। কিন্তু মুক্তি দেয়া হলে তারা যাবে কোথায়? মার্কিন কংগ্রেস এর আগেই আইন প্রণয়ন করে তাদের মার্কিন ভূখণ্ডে সাধারণ আদালতে বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। অন্য দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট মানদণ্ড স্থির করে দেয়া হয়েছে। সেসব শর্ত পূরণ করতে পারে, এমন কয়েকটি দেশ মাত্র কয়েকজন বন্দিকে গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে।

সৌদী শাসনব্যবস্থায় সংস্কারের এখনই সময় : প্রিন্স তালাল

সৌদি আরবের প্রিন্স তালাল বিন আবদুল আজিজ আরববিশ্বে সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, যদি সৌদী বাদশাহ আবদুল্লাহ রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংস্কারের কর্মসূচিতে গতি না আনেন, তাহলে তা খুবই বিপদ বয়ে আনবে দেশটির জন্য।
তিনি আরও বলেছেন, আন্দোলন থেকে বাঁচতে সরকারকে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং দেশটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন কেবল বাদশাহ স্বয়ং। বিবিসি আরবিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি একথা বলেন। অবশ্য এই সৌদী রাজপুত্র বরাবরই দেশটির শাসনব্যবস্থায় সংস্কার আনার পক্ষেই কথা বলে আসছেন।

বাহরাইনের বাদশাহকে উচ্ছেদের অঙ্গীকার

বাহরাইনে হাজার হাজার শোকার্ত বিক্ষোভকারী ক্ষমতাসীন বাদশাহকে উচ্ছেদের অঙ্গীকার করেছেন। সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে ৪ জন নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। শোকাহতরা ব্যানার হাতে নিয়ে সরকার পতনের স্লোগান দেন। অনেকেই বলেছেন, পরিবর্তনের জন্য তারা জীবন দিতে প্রস্তুত। মানামার রাজপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পাশ্চাত্য বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানায় তারা।
রাজধানী মানামা এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। বিক্ষোভে ৪ জনের মৃত্যুর পর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক দেশ বাহরাইনের পরিস্থিতি। সরকারপন্থিরাও একই দিন পাল্টা মিছিল বের করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরকার সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে আরও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। মানামার রাস্তায় সেনাবাহিনী ও ট্যাঙ্ক নেমেছে। বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা করা দরকার সেনারা তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা এবং সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দশ লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশ বাহরাইন খুব ছোট হলেও সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সদর দফতর এখানে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালেদ বিন আহমেদ আল খলিফাকে ফোনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। শুক্রবারের শবযাত্রা যাতে কোনো প্রকার সহিংস ঘটনায় পণ্ড হয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে মানামার রাস্তায় রাস্তায় ভারী অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী।
বাহরাইনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর তলোয়ার, ছুরি ও ড্যাগার নিয়ে হামলা চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর লক্ষ্যে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মানামার কেন্দ্রস্থল পার্ল স্কয়ারে সোমবার থেকে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর রাত তিনটার দিকে হামলা চালায় দাঙ্গা পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে তাড়ানো হয়। সুন্নি মুসলিম শাসিত বাহরাইনে সাংবিধানিক সংস্কার, রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দিদের মুক্তিসহ একজন নাগরিকের যেসব স্বাভাবিক অধিকার হরণ করা হয়েছে তার অবসানের দাবিতে মূলত শিয়া মুসলিমরা এই আন্দোলন শুরু করে। পার্ল স্কয়ারে পুলিশের মারমুখী অভিযান প্রসঙ্গে দেশটির প্রধান বিরোধী দল শিয়াপন্থি ওয়েফাক পার্টি জ্যেষ্ঠ সদস্য আবদুল জলিল খলিল রয়টার্সকে বলেন, এটা স্বৈরতন্ত্র। তারা হত্যার লক্ষ্যেই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফয়সাল বিন ইয়াকুব আল হামের বলেন, পুলিশের অভিযান চলাকালে ৩ জন নিহত ও ২৩১ জন আহত হয়েছে। বিরোধীদলীয় এক আইনপ্রণেতা বলেন, গুরুতর আহত অপর একজন মারা গেছে। এর আগে পুলিশের ওই অভিযান সম্পর্কে বাহরাইনের বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা ইব্রাহিম মাত্তার বলেন, আমি সেখানে ছিলাম। মানুষ দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে ছুটাছুটি করছিল। কিন্তু নারী ও শিশুদের জন্য বিষয়টি সহজ ছিল না। তাদের কেউ কেউ তখনও চত্বরের ভেতরেই ছিল। ইব্রাহিম মাত্তার বাহরাইরেন শিয়াপন্থি প্রধান বিরোধী দল ওয়েফাক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা। ওয়েফাক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ আলি সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা কোনো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই, যেখানে জনগণই সকল ক্ষমতার উত্স। আর তা করতে হলে নতুন সংবিধান প্রয়োজন। বাহরাইনের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দমনের পরিবর্তে সংস্কারের আহ্বান জানান। জাতিসংঘে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন, দায়িত্বশীল সরকার এবং সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি সম্ভব।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফোনে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল- খলিফার সঙ্গে আলাপকালে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এ সময় তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান। তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর দাঙ্গা পুলিশের আকস্মিক হামলার প্রতিবাদে সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দেশের বিরোধী শিয়া দল।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে মানামা স্কয়ারে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনসহ রাস্তা বন্ধ করে তল্লাশি কেন্দ্র বসানো হয়। এ সময় স্কয়ারে ডজনের বেশি সেনা যানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘দেশে নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।’ তবে একইসঙ্গে জনগণকে বাহরাইনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জড়ো না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।