Saturday, February 19, 2011

রবীন্দ্রনাথও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন: আজহার

 জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন। আমাদের প্রগতিশীল বন্ধুরা এটা ভুলে গেছেন। তিনি বলেন, ১৯১৮ সালে কলকাতায় শান্তি নিকেতনে এক আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দিকে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার প্রতিবাদ করেছিলেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আজহার আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষের জন্য হিন্দি ভাষাকে প্রস্তাব করে মহাত্মা গান্ধীকেও চিঠি লিখেছিলেন। আমাদের বন্ধুরা এটা ভুলে গেছেন।
বর্তমানে ইতিহাস বিকৃতির মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে এটিএম আজহার আরো বলেন, দেশে এখন নতুন নতুন ভাষা সৈনিক তৈরি হয়েছে। যারা প্রকৃত অর্থে ভাষার জন্য লড়াই করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন তাদের কথা সবাই ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দল ভাষা আন্দোলন করেনি। তৎকালীন ইসলামী ভাবধারার তমুদ্দুন মজলিস-ই প্রথম ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে অগ্রগণ্য হলেন অধ্যাপক গোলাম আজম। তিনি আরো বলেন, গোলাম আজমই রংপুর রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর সমালোচনা করে আজহার বলেন, তিনি অধ্যাপক গোলাম আজমকে যুদ্ধাপরাধের প্রতীক বলে সবকিছু আড়াল করার চেষ্টা করছেন। গোলাম আজম প্রতীক হলে টিক্কা খান-ইয়াহিয়া খান কে?
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ এতদিন মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিয়েছে এখন ভাষা আন্দোলনের সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মোবারকের মতো বর্তমান সরকারকেও পালাতে হবে। অত্যাচার নির্যাতন করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এটা মিসরের মানুষ দেখিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এতদিন অপেক্ষা করবে না।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন- প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, আইন বিভাগের সেক্রেটারি মশিউল আলম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. রিদওয়ানুল্লাহ শাহেদী, এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার, সেলিম উদ্দীন, মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।