Tuesday, February 15, 2011

উখিয়ায় ২ প্রভাবশালী পরিবারের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রঃ সাংবাদিক সহ আহত-২০ ঃ ৩ ঘন্টা যান চলাচল ও দোকান বন্ধ



সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া  

উখিয়ার কোটবাজার ষ্টেশনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,গাড়ি, পেট্রোল পাম্প ভাংচুর ও সাংবাদিক সহ অন-ত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত- কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যানবাহন চলাচল
ও কোটবাজারে দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। পুলিশ দফায়
দফায় চেষ্টা করেও পরিস্থি'তি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। কোটবাজার মধ্যম ষ্টেশনে তোফাইল শফিং কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টা থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন- কোটবাজার ষ্টেশন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সরজমিনের ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, উখিয়ার কোটবাজার বাস ষ্টেশনে জনৈক চায়ের দোকানে কর্মচারীকে চড়া মরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এতে এক পক্ষে উখিয়া উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী পুত্র ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও তোফাইল শফিং কমপ্লেক্সের মালিক হাজী তোফাইল আহমদের নাতি সাবিতের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় উক্ত ঘটনার মধ্যস'তার জন্য উখিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি আদিল উদ্দিন চৌধুরীর কোটবাজারস' চেম্বারে উভয় পক্ষকে আসার আহবান জানান। এ সময় সাবিত চৌধুরী ও তার পক্ষের লোকজন সমঝোতা বৈঠকে আসলেও ইমরুল কায়েস চৌধুরী না আসায় সমঝোতার উদ্যোগ ভেসে- যায়। পরবর্তীতে দুপুর আড়াই টার দিকে কোটবাজারস' ফজল ব্রাদার্স পেট্রোল পাম্পে সমঝোতা বৈঠকে তোফাইল আহমদ চৌধুরী ও কামাল উদ্দিন চৌধুরী মিন্টুর উপসি'তিতে উভয়ের মধ্যে চরম বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উক্ত সমঝোতা বৈঠকও ভেসে- গেলে উভয় পক্ষের শত শত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে কোটবাজার বাস ষ্টেশনে মারমুখি অবস'ান নেয়। এতে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে উক্ত সড়কে যানবাহণ চলাচল ও দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হওয়া ২ প্রভাবশালী পরিবারের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিসি'তিতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস'লে পৌঁছে। সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল চত্রধর ত্রিপুরা, ওসি নিয়াজ মোহাম্মদ সহ একাধিক পুলিশ অফিসার সহ পুলিশ ফোর্স ঘটনাস'লে অবস'ান করে পরিসি'তি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা একটি ট্রাক, একটি মিনি বাস সহ বেশ কটি যানবাহণ ভাংচুর করে। এ সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতা দৈনিক মানব জমিনের উখিয়া প্রতিনিধি সরওয়ার আলম শাহিন, ও নয়া দিগন্তে-র উখিয়া সংবাদদাতা হুমায়ুন কবির জুশানকে বেদম মারধর করে ক্যামরা ছিনিয়ে নেয়। দায়িত্বরত পুলিশের এস আই নাসির উদ্দিন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে। এ রির্পোট লিখা পর্যন- পরিসি'তি থমথমে রয়েছে এবং হাজার হাজার উত্তেজিত জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। পরিসি'তি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কক্সবাজার থেকে এক প্লাটুন অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়ন করা হলেও পরিসি'তি শান- হয়নি। সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল চত্রধর ত্রিপুরা জানান, পরিসি'তি নিয়ন্ত্রণে এনে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।