Thursday, March 24, 2011

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়েছে।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়েছে। 
জবি ছাত্রলীগের উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সঙ্গে সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটক ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে রয়েছে সোহাগ, শিব্বির, ময়নাল, মিলন আখতার, সুলতান ও শামীম। এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসসহ সব কার্যক্রম তাত্ক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উভয় পক্ষে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের ওপর মঙ্গলবারের এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। উল্লেখ্য, এই দুই গ্রুপ ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছাত্রী লাঞ্ছিত করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সভাপতি পক্ষের বাবর গ্রুপের সঞ্জিব, শাহাদাত, সজিব, মামুন, রাজিব, সাইফ, কাইল্লা সুমন, আপেল, সৌরভ, তানভীর, মানিক, কামাল, শাকিলসহ ১৫-২০ জন কর্মী সকাল ১০টার দিকে বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে আরাফাত (মনোবিজ্ঞান) নামের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। এ গ্রুপটি দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, মোবাইল ছিনতাই, শিক্ষক-ছাত্রী লাঞ্ছিত, ফাও খাওয়া, সাংবাদিক লাঞ্ছিত করা ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাদের এ অপকর্মের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উত্তরবঙ্গ ও দাক্ষিণবঙ্গ এবং বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক পক্ষের নেতাকর্মীরা এক হয়ে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া দেয়। 
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি কর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 
এ ঘটনায় ২০ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, কিছু ছাত্রনামধারীরা প্রায় সময়ই ক্যাম্পাসে নানা অঘটন ঘটিয়ে আসছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নির্দেশ রয়েছে। আমরাও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে যারা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেব না। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।