Sunday, February 20, 2011

সাতকানিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় আ.লীগের সভা পণ্ড

 চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হামলা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। মাঝপথে পণ্ড হয়ে গেছে স্থানীয় কেওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাজিমউদ্দিন নামে ছাত্রলীগের এক ক্যাডারকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতকানিয়া সদরের কেরানীহাটস্থ মজিদ মার্কেটের ৩য় তলায় কেওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলছিল। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ নেতাকর্মী এতে উপস্থিত ছিলেন। সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সালেহর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অত্যাচার-নির্যাতনের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সভা চলাবস্থায় রাত পৌনে ৮টার দিকে এ খবর পেয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সালেহর নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয় এবং কেন আবু সালেহর সমালোচনা করা হয়েছে জানতে চায়। এ সময় তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ওসমান গণি সিকদারের শার্টের কলার টেনে ধরে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আরো কয়েকজন নেতাকেও লাঞ্ছিত করে তারা। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসমান গণি সিকদার শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, আমাদের মিটিং চলাকালে সন্ত্রাসী আবু সালেহর নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নামধারীরা হামলা চালায়। তারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তারা জামায়াত-শিবির ও রাজাকারদের দোসর। তাদের সাথে মূল সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর ছাত্রলীগে ঠাঁই নেই।