Friday, February 18, 2011

গ্রেপ্তার হলে গুয়ানতানামোই লাদেনের ঠিকানা: সিআইএ |



ওসামা বিন লাদেন
ওসামা বিন লাদেন
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন গ্রেপ্তার হলে কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারই হবে তাঁর ঠিকানা। একইভাবে সংগঠনটির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ধরা পড়লে তাঁকেও সেখানে বন্দী রাখা হবে। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক লিও পানেট্টা গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতারা ধরা পড়লে কী হবে, সিনেটরদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
পানেট্টা বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওসামা বিন লাদেন ও আইমান আল জাওয়াহিরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে নেওয়া হবে আফগানিস্তানের সামরিক ঘাঁটি বাগরামে। সেখান থেকে নেওয়া হবে কিউবার গুয়ানতানামো বে কারাগারে। স্থায়ীভাবে সেখানেই তাঁদের রাখা হবে।
তবে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার বলেছেন, আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বিচার ও নিরাপত্তা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, এ জন্য লাদেন ও জাওয়াহিরির বিচারের স্থল নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে আলোচনা হতে হবে। এই আলোচনার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে আল-কায়েদা নেতাদের কোথায় বিচার হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দী সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিচার নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতাদের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের পক্ষে অবস্থান নিলেও রিপাবলিকানরা এর বিপক্ষে। এমনকি তাঁরা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বেসামরিক আদালতে বিচারও চান না।
ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুয়ানতানামো বের বিতর্কিত কারাগার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কংগ্রেসে তিনি এ ব্যাপারে বরাবরই তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ওবামার মুখপাত্র জেই কার্নি বলেছেন, গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট ওবামা অনড়। কেননা সেনা কমান্ডারদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না লাদেনকে জীবিত গ্রেপ্তার করা সম্ভব।’ এএফপি।